ডাঃ শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড চান পুলিশ
নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডাঃ শাহাদাত হোসেন ও নগর মহিলা দলের সভানেত্রী ও সাবেক চসিক কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মণিসহ বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
তারমধ্যে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। তাদের রিমান্ড শুনানি আগামীকাল হবে।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে হাজির করা হয় গ্রেফতার ১৮ আসামিকে। এরপর শুনানি শেষে গ্রেপ্তার ১৮ আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এরমধ্যে ডাঃ শাহাদাত হোসেন চকবাজার থানায় চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিধের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাব উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘চকবাজার থানার একটি চাঁদাবাজির মামলায় ডাঃ শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
অন্যদিকে কোতোয়ালী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা দুই মামলায় ১৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ১৭জনের বিরুদ্ধে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে সকল আসামিক্র কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ও বুধবার (৩১ মার্চ) রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য্য করেন।’
প্রসঙ্গত, সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুর তিনটা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোদি বিরোধী বিক্ষোভে হেফাজত-আইনশৃংখলা বাহিনীর সংঘর্ষের প্রতিবাদে বিএনপি সারাদেশে কর্মসূচি দেন। যে কর্মসূচি দিয়েছে তা পালন করতে এসে পুলিশের সঙ্গে এক পর্যায়ে চট্টগ্রামে বিএনপির প্রধান কার্যালয় নসীমন ভবনের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিএনপি।
এসময় ককটেলবাজি, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরও হামলার অভিযোগ রয়েছে বিএনপির ও মহিলা দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
পুলিশের দাবি, তাদের হামলা থেকে বাদ যায়নি কাজির দেউড়ি পুলিশ বক্স, পুলিশের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত ঢাল। যদিও হামলার কিছুক্ষণ পর নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাতসহ ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু ডাঃ শাহাদাতকে গ্রেফতার দেখানো হয় চকবাজার থানায় দায়েরকৃত একটি চাঁদাবাজি মামলায়।
ওই দিন গভীর রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। একটি মামলা কোতোয়ালী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয় ও অন্যটি ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে।
প্রত্যেক মামলাতেই চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও নগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, নগর যুবদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির শীর্ষ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া দায়ের কৃত মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে নগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. লুসি খান সিটি নির্বাচনের সময় কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ করেন ডাঃ শাহাদাতের বিরুদ্ধে।
একটি চাঁদাবাজি মামলাও দায়ের করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায়। সেই মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন ডা. শাহাদাত হোসেন।
বে অব বেঙ্গল নিউজ / bay of bengal news