রাবিতে পরিত্যক্ত মর্টারশেল উদ্ধার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এর বধ্যভূমি স্মৃতিফলক এলাকার একটি পুকুর থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত পরিত্যক্ত মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরচন্ডী এলাকার মাছচাষি শরীফুল ইসলাম পুকুরে মাছকে খাবার দেওয়ার সময় পরিত্যক্ত মর্টারশেল দেখতে পান। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শামসুজ্জোহা হলের পাশে স্বাধীনতাযুদ্ধে ব্যবহৃত একটি মর্টার শেল পাওয়া গেছে খবর পেয়ে পুলিশ এসে জায়গাটি ঘিরে রেখেছিল।
প্রাথমিকভাবে মর্টারশেলটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়কার এবং এটি পরিত্যক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরে র্যাবকে খবর দিলে র্যাব -৫ এর একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
র্যাব সদস্য নাজমুল হক জানান, র্যাবের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঢাকায় খবর দেওয়া হয়েছে।
বোমা নিষ্ক্রিয় এক্সপার্টরা এসে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, মর্টারশেলের আশেপাশের জায়গাটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন।
বুধবার ঢাকা থেকে র্যাবের এক্সপার্টরা আসবে বলে জানতে পেরেছি।
তারা এসে পরীক্ষা করে দেখলে বোঝা যাবে এটি অবিস্ফোরিত বা এর শক্তি আছে কিনা। তারপরও ঝুঁকি এড়াতে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানির হানাদার বাহিনী ক্যাম্প ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ শামসুজ্জোহা হল।
মুক্তিযোদ্ধাদের মতে এটি রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে বড় ক্যাম্প ও নির্যাতন ক্যাম্প ছিল।
মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীনের পর জোহা হলের পেছন থেকে কয়েক হাজার মাথার খুলি, অস্ত্র, বারুদ, মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়।
সম্প্রতি হলের পূর্বপাশে পুকুর খননের কাজ শুরু হয়েছে। খননের মাটি দিয়ে পাশ্ববর্তী পুকুরে পাড় বাধানো হয়েছে।
অনেকের ধারণা মাটির সঙ্গে মর্টারশেলটি পুকুরে চলে গেছে।