(ভিডিও সহ) আইন পরিবর্তন করে পুড়ে যাওয়া মুসল্লিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান ব্যারিস্টার সুমনের
ব্যারিস্টার সুমন আজ ফেসবুক লাইভে নারায়ণগঞ্জে পুড়ে যাওয়া মুসল্লিগণের ক্ষতি পূরণের দাবি করেন।
তিনি বলেন,আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় কোর্টে ক্ষতিপূরণের জন্য প্রথমে ৬০০০০ টাকা ফি দিয়ে উকিল ঠিক করে মামলা করতে হয়।কিছুদিন আগে এক বড়লোক পরিবার হাইকোর্টে এমন মামলায় ক্ষতিপূরণ পেয়েছে।
কিন্তু,
গরিব মানুষেরা ত আর কথায় কথায় হাই কোর্ট যাইতে পারে না তাই সরকারের উচিত এই পুড়ে যাওয়া,বাঁচার জন্য লড়াই করা মানুষ গুলোর পাশে দাড়াঁনো।
উল্লেখ্য, এর আগে,
নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালা জামে মসজিদের বিষ্ফোরণে নিকট আত্বীয় হারিয়েছেন অনেকে। এখন পর্যন্ত ১১ জন মারা গিয়েছেন, আর যারা বেঁচে আছে মৃত্যুর সাথে লডাই করছেন তারাও। ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিক ভাবে জানায় তিতাস গ্যাসের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস হতেই এই বিষ্ফোরণ। এলাকাবাসীও একই কথা জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহা পরিচালক ব্রি. জে. (অব.) আবু নাঈম মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, তিতাস গ্যাসের লাইনটা মেটালিক লাইন। সেটাতো সংযোগ স্থাপনে থাকে। এটাতে অনেক বছর চলে যাবেনা। তাহলে জয়েন্ট গুলা পরীক্ষা করা এবং ওখানে জং ধুরল কিনা ক্ষয় হয় গেল কিনা। কারণ এগুলোর সাথেতো মানুষের জীবন সম্পৃক্ত। তাই সেই ব্যাপারে আমদের গাফিলতি ছিল কিনা। এই ব্যাপারে ম্যান্টেইনেন্সের অভাব ছিল কিনা। আজকে এতগুলা প্রাণ গেল তারপরেও যদি আমরা এর প্রতিকার না পাই তাহলেতো হলোনা।
এদিকে বুয়েটের, যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, আপনি ৩৬৫ দিন নিয়ম মেনে চলতে পারেন, কিন্তু দুর্ঘটনাতো একদিনেই ঘটে যতে পারে। যেটা বাইতুস সালা মসজিদে হল। যারা গ্যাসের সংযোগ দেন তাদের নিয়মিত তদারকি করতে হবে। প্রতিদিন না, সপ্তাহে একবার কিংবা মাসে একবার এই তদারকি করলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার এশার নামাজের পর নারায়ণগঞ্জের তল্লার বাইতুস সালা জামে মসজিদে এই বিষ্ফোরণ ঘটে। প্রথমে এসি থেকে বিষ্ফোরণ হয়েছে বলা হলেও পরে জানা যায় তিতাস গ্যাসের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে এই বিষ্ফোরণ ঘটে।
আরসি/ বে অব বেঙ্গল নিউজ/ স্টাফ রিপোর্টার