এসি থেকে নয় গ্যাস থেকেই বিষ্ফোরণঃ নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস
গ্যাসের পাইপলাইন নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না করলে নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালা মসজিদের মত এরকম আরও মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও তৎপর হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালা জামে মসজিদের বিষ্ফোরণে নিকট আত্বীয় হারিয়েছেন অনেকে। এখন পর্যন্ত ১১ জন মারা গিয়েছেন, আর যারা বেঁচে আছে মৃত্যুর সাথে লডাই করছেন তারাও। ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিক ভাবে জানায় তিতাস গ্যাসের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস হতেই এই বিষ্ফোরণ। এলাকাবাসীও একই কথা জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহা পরিচালক ব্রি. জে. (অব.) আবু নাঈম মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, তিতাস গ্যাসের লাইনটা মেটালিক লাইন। সেটাতো সংযোগ স্থাপনে থাকে। এটাতে অনেক বছর চলে যাবেনা। তাহলে জয়েন্ট গুলা পরীক্ষা করা এবং ওখানে জং ধুরল কিনা ক্ষয় হয় গেল কিনা। কারণ এগুলোর সাথেতো মানুষের জীবন সম্পৃক্ত। তাই সেই ব্যাপারে আমদের গাফিলতি ছিল কিনা। এই ব্যাপারে ম্যান্টেইনেন্সের অভাব ছিল কিনা। আজকে এতগুলা প্রাণ গেল তারপরেও যদি আমরা এর প্রতিকার না পাই তাহলেতো হলোনা।
এদিকে বুয়েটের, যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, আপনি ৩৬৫ দিন নিয়ম মেনে চলতে পারেন, কিন্তু দুর্ঘটনাতো একদিনেই ঘটে যতে পারে। যেটা বাইতুস সালা মসজিদে হল। যারা গ্যাসের সংযোগ দেন তাদের নিয়মিত তদারকি করতে হবে। প্রতিদিন না, সপ্তাহে একবার কিংবা মাসে একবার এই তদারকি করলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার এশার নামাজের পর নারায়ণগঞ্জের তল্লার বাইতুস সালা জামে মসজিদে এই বিষ্ফোরণ ঘটে। প্রথমে এসি থেকে বিষ্ফোরণ হয়েছে বলা হলেও পরে জানা যায় তিতাস গ্যাসের লিকেজ থেকে গ্যাস জ,মে এই বিষ্ফোরণ ঘটে।
ডব্লিউ বি বি ও / বে অব বেঙ্গল নিউজ / স্টাফ রিপোর্টার