গ্রিস-তুরস্ক যুদ্ধ : আলোচনার আহ্বান পোপের
খ্রিস্ট ধর্মের রোমান ক্যাথলিক শাখার প্রধান এই ধর্ম গুরু সোমবার (৩১ আগস্ট) এক টুইট বার্তায় একটি আহ্বান জানান।পোপের টুইটকে গুরুত্ব দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু নিউজ এজেন্সি।
পোপ ফ্রান্সসকো পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।

পোপ লেখেন, ‘আমি পূর্ব ভূমধ্য সাগরে চলমান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেখানে মানুষের নিরাপত্তা হুমকিতে রয়েছে। দু’পক্ষকেই আলোচনার মাধ্যমে চলমান সমস্যার সমাধান করতে হবে। সেখানে কোনো রকম রক্তপাত কাম্য নয়। সমস্যা সমাধানে গঠনমূলক সংলাপ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার উচিৎ সব পক্ষকেই।’
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্রিসের দখলে থাকা কিছু দ্বীপ নিয়ে বিতর্ক চলছে বহু বছর ধরে। তুরস্কের সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় তুরস্ক এগুলোর মালিকানা দাবি করে আসছে। তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিষয়টি নিয়ে নতুন তদন্ত বা জরিপ করে সীমানা ঠিক করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে বিতর্কিত এসব এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধ্যানের জন্য তুরস্ক খনিজ অনুসন্ধানী জাহাজ পাঠিয়েছে। সেখানে তারা নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একটি গ্যাসের খনি খুঁজে পেয়েছে। যেটি বিতর্ককে আরো উস্কে দিয়েছে। সাইপ্রাস ও গ্রিস বলে আসছে বিতর্কিত এলাকায় তেল গ্যাস অনুসন্ধান বন্ধ করতে হবে তুরস্ককে।
তবে তুরস্ক বলছে এটি তাদের অধিকার। কারণ নিজেদের জলসীমায় খনিজ অনুসন্ধান অপরাধ হবে না। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তুরস্ক গ্রিসকে ধ্বংস করে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল রোববার গ্রিসের ৬টি যুদ্ধ বিমান বিতর্কিত এলাকায় টহল দেয়। এসময় তুরস্ক ৬টি বিমানকেই ধাওয়া করে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয়। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে সাইপ্রাসের সমর্থনে বিতর্কিত এলাকায় একটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠায় ফ্রান্স তখন তুরেস্ক এর নিন্দা জানায়।
আগস্টের শেষ সপ্তাহে একটি প্রশিক্ষণ মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র যোগদেয় তুরস্কের সঙ্গে। এর পর বিশ্ব ভূমধ্যসাগর ইস্যুতে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়া দৃশ্যমান হয়। যেটি ওই অঞ্চলে বড় ধরণের সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে পোপ এই শান্তি আলোচনার ডাক দিলেন।
রুউ/স্টাফ রিপোর্টার/বিবিএন