চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে ‘প্রেমিক রমজানকে’ বিয়ে করলো সেই কিশোরী নছিমন
বরিশালের পটুয়াখালীর বাউফলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে তালাকের পরের দিন নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমন নামের এক কিশোরী প্রেমিক রমজানকে বিয়ে করে আলোচনার কেন্দ্রে।

রোববার ঐ কিশোরীর প্রেমিক রমজানের মামাবাড়িতে কাজী ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়ান। এর আগে, শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় সালিশে তালাকের মাধ্যমে কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে (৬০) তালাক দেয় এই নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমন নামের কিশোরী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালীর কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাশা গ্রামের রমজান (২৫) নামের এক যুবকের সাথে একই ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার নছিমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত ৩ মাস পূর্বে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের তাঁতেরকাঠি নামক গ্রামের সোহেলের সঙ্গে নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমনের বিয়ে হয়। বিয়ের ৭ দিনের মাঝে নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমন সোহেলকে তালাক দিয়ে প্রেমিকা রমজানকে বিয়ে করে সংসার শুরু করে।
এই বিয়ে নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমনের পরিবার মেনে না নেয়াতে গত শুক্রবার (২৫ জুন) দুই পক্ষকে কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের আয়লা বাজারস্থ বাসায় যেতে বলেন।
সেখানে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কিশোরী নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমনকে পছন্দ হওয়ায় ওইদিন বিয়ে করেন চেয়ারম্যান। দেশব্যাপী বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলে পরবর্তী দিন নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমন চেয়ারম্যারকে তালাক দিয়ে তার বাবার বাড়ি ফিরে যায়।
এদিকে এ ঘটনা নিয়ে হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, স্থানীয় সরকার বাল্যবিয়ে করায় বরখাস্ত করেছে চেয়ারম্যানকে।
নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমনের স্বামী রমজান বলেন, আমি ১ বছরেরও অধিক সময় পূর্বে নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমনের নানা বাড়ি সামনে আল মামুন জামে মসজিদে ইমাম ছিলাম। তার নানা বাড়ির কাছেই নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমনের বাড়ি।
রমজান জানায়, নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমনের তার কাছে কোরআন পাঠ শিখতো। সেখান থেকে নছিমনের সাথে তার পরিচয় ও সম্পর্ক। একপর্যায়ে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে নাজমিন আক্তার ওরফে নছিমনকে তার বাবা জোর করে অন্যত্র বিয়ে দেন।